ঢাকা ১৫ জুলাই, ২০২৫
শিরোনামঃ
বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে: আইন উপদেষ্টা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি দাঁড়ালে তাদের সাথে ঐক্য সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু: বিএনপি মহাসচিব সমাজের বিরাজমান বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করতে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রয়োজন: অধ্যাপক আলী রীয়াজ দুই হাজার ড্রোনের প্রদর্শনীতে শেষ হলো ১৪ জুলাই উইমেন্স ডে জুলাই উইমেনস ডের মধ্যে দিয়ে পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন শুরু হচ্ছে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা ঢাকা জেলা পরিষদের বাস্তবায়নাধীন ভবনের নথি গায়েব : দুদকের অভিযান চাঁদপুরে ইমামের ওপর হামলা ইসলামের চেতনাবিরুদ্ধ কাজ: ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আকতার হোসেন তারেক ও জুবাইদার খালাসের রায় প্রকাশ

‘আমরা জুলাই বিক্রি করি না, কাউকে বিক্রি করতেও দেবো না’

#
news image

যারা জুলাই স্বীকার করে না, তারা আমাদের কেউ না। জুলাই কারো একার না। জুলাই বিপ্লব আমাদের সবার। আমরা জুলাই বিক্রি করি না, কাউকে বিক্রি করতেও দেবো না।

আজ ১৪ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই উইমেন্স ডে উপলক্ষে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি পুনর্জাগরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবী সংগীত শিল্পী ও জুলাই যোদ্ধা ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানের কণ্ঠের পাশাপাশি এসব কথা জুলাই যোদ্ধাদের স্মৃতিচারণে উঠে আসে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এরপর দিপক কুমার গোস্বামী 'স্পিকিং’ ও ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’ চলচ্চিত্রসমূহ যথাক্রমে প্রদর্শিত হয়।

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই জুলাই উইমেন্স ডে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন, আইন সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস  মুরশিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলা একাডেমির  মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব  আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জুলাই যোদ্ধা সায়ান ‘এই মেয়ে শোন’, আমি জুলাইয়ের গল্প বলবো’, 'আমার নাম প্যালেস্টাইন’, প্রভৃতি জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নারীরা যেভাবে  মাঠে নেমে এসেছিলেন সেই দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন শহীদ নাইমা সুলতানার মা, জুলাই যোদ্ধা,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়মা ও উমামা, আবরার ফায়াজ,স্বর্ণা রিয়া সহ অনেক।

জুলাই যোদ্ধারা বলেন, হাজার হাজার প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি, যে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, এই স্বাধীন দেশে আমরা নারীরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে চাই।

তারা বলেন, এ দেশে  কথা বলার স্বাধীনতা চাই,নারী ও পুরুষের সমান অধিকার চাই, নারীদের উপর যেন আর কোন অত্যাচার ও নিপীড়ন, ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে  সরকার সেই ব্যবস্থা নেবে এটাই আমরা আশা করবো। অন্যথায় জুলাই যোদ্ধারা আবারও শতগুণ হয়ে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাবে এবং নারীর অধিকার অর্জন করতে আন্দোলন করবে। আমরা আর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে ফিরে যেতে চাই না বলেও জানান বক্তারা।

সংগতি’, ‘অচিরজীবির প্রার্থনা’, ‘বাঘের গান’ ও ‘নীল নির্বাসন’ গানসমূহ পরিবেশন করে ব্যান্ডদল ইলা লা লা। এরপর স্লোগান গার্লরা মঞ্চে এসে স্লোগান দেয়ার পর এফ মাইনর পরিবেশন করে ‘আলো আসবেই’, ‘মুক্তি’, ‘ডাহুক’ ও ‘মেয়ে’ গানসমূহ। পরে শহীদ আবরার ফাহাদকে নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

আবারও স্লোগান গার্লরা মঞ্চে এসে স্লোগান দেয়ার পর পারসা মাহজাবীন ‘চলো ভুলে যাই’, ‘মুক্তির মন্দির’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ গান পরিবেশন করে। ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’, ‘পলাশীর প্রান্তর’, ‘ঘুরে দাঁড়াও’ ও ‘বাংলাদেশ’ গানসমূহ পরিবেশন করেন শিল্পী এলিটা করিম।

এরপর স্লোগান গার্লরা মঞ্চে এসে স্লোগান দেয়ার পর এফ মাইনর পরিবেশন করেন আলো আসবেই ডাহুক ও মেয়ে গানসমূহ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

১৫ জুলাই, ২০২৫,  1:57 AM

news image

যারা জুলাই স্বীকার করে না, তারা আমাদের কেউ না। জুলাই কারো একার না। জুলাই বিপ্লব আমাদের সবার। আমরা জুলাই বিক্রি করি না, কাউকে বিক্রি করতেও দেবো না।

আজ ১৪ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই উইমেন্স ডে উপলক্ষে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি পুনর্জাগরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবী সংগীত শিল্পী ও জুলাই যোদ্ধা ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানের কণ্ঠের পাশাপাশি এসব কথা জুলাই যোদ্ধাদের স্মৃতিচারণে উঠে আসে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এরপর দিপক কুমার গোস্বামী 'স্পিকিং’ ও ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’ চলচ্চিত্রসমূহ যথাক্রমে প্রদর্শিত হয়।

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই জুলাই উইমেন্স ডে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন, আইন সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস  মুরশিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলা একাডেমির  মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব  আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জুলাই যোদ্ধা সায়ান ‘এই মেয়ে শোন’, আমি জুলাইয়ের গল্প বলবো’, 'আমার নাম প্যালেস্টাইন’, প্রভৃতি জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নারীরা যেভাবে  মাঠে নেমে এসেছিলেন সেই দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন শহীদ নাইমা সুলতানার মা, জুলাই যোদ্ধা,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়মা ও উমামা, আবরার ফায়াজ,স্বর্ণা রিয়া সহ অনেক।

জুলাই যোদ্ধারা বলেন, হাজার হাজার প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি, যে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, এই স্বাধীন দেশে আমরা নারীরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে চাই।

তারা বলেন, এ দেশে  কথা বলার স্বাধীনতা চাই,নারী ও পুরুষের সমান অধিকার চাই, নারীদের উপর যেন আর কোন অত্যাচার ও নিপীড়ন, ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে  সরকার সেই ব্যবস্থা নেবে এটাই আমরা আশা করবো। অন্যথায় জুলাই যোদ্ধারা আবারও শতগুণ হয়ে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাবে এবং নারীর অধিকার অর্জন করতে আন্দোলন করবে। আমরা আর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে ফিরে যেতে চাই না বলেও জানান বক্তারা।

সংগতি’, ‘অচিরজীবির প্রার্থনা’, ‘বাঘের গান’ ও ‘নীল নির্বাসন’ গানসমূহ পরিবেশন করে ব্যান্ডদল ইলা লা লা। এরপর স্লোগান গার্লরা মঞ্চে এসে স্লোগান দেয়ার পর এফ মাইনর পরিবেশন করে ‘আলো আসবেই’, ‘মুক্তি’, ‘ডাহুক’ ও ‘মেয়ে’ গানসমূহ। পরে শহীদ আবরার ফাহাদকে নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

আবারও স্লোগান গার্লরা মঞ্চে এসে স্লোগান দেয়ার পর পারসা মাহজাবীন ‘চলো ভুলে যাই’, ‘মুক্তির মন্দির’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ গান পরিবেশন করে। ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’, ‘পলাশীর প্রান্তর’, ‘ঘুরে দাঁড়াও’ ও ‘বাংলাদেশ’ গানসমূহ পরিবেশন করেন শিল্পী এলিটা করিম।

এরপর স্লোগান গার্লরা মঞ্চে এসে স্লোগান দেয়ার পর এফ মাইনর পরিবেশন করেন আলো আসবেই ডাহুক ও মেয়ে গানসমূহ।