ফাটলধরা ভবনে চলছে পাঠদান
পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, 1:17 AM
ফাটলধরা ভবনে চলছে পাঠদান
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ৩নং পানছড়ি ইউপিতে অবস্থিত গোলক প্রতিমাছড়া মুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাইরে থেকে ঢালাই-পলেস্তারা ঠিক থাকলেও ভেতরের চিত্র পুরোই উল্টো—দেয়ালজুড়ে প্রসারিত বড় বড় ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার ভয়, কোথাও কোথাও ধসে যাওয়ার আশঙ্কা। বর্ষায় শিশুদের বই-খাতা একাকার ভিজে গিয়েছিল; শুকনো মৌসুমেও রেহাই নেই—মাঝে মাঝেই ধুলো আর পলেস্তারা ঝরে পড়ে।
এই দৃশ্যের মধ্যেই ক্লাসে বসে থাকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। পাঠ্যবই খুললেও তাদের চোখ বারবার চলে যায় ফাটলধরা দেয়ালে। মনে একটাই ভাবনা—“এই বুঝি মাথার ওপর কিছু ভেঙে পড়লো।” শ্রেণিকক্ষে থাকার পুরোটা সময়ই তারা ভয় আর আতঙ্কে কাটায়। তাদের ছোট্ট দাবি—নতুন ভবন। যাতে অন্তত নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে না হয়, নিশ্চিন্তে পড়তে পারে।
সুজিত চাকমা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, “আমি বেশি দিন হয়নি যোগ দিয়েছি। কিন্তু এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা যে কখন কী হয় বলা যায় না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
শান্তিপ্রিয় চাকমা, এলাকার কার্বারি বলেন, বছরের পর বছর এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এডিন চাকমা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, পানছড়ি বলেন, বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ—এটা আমরা জানি। গত দুই অর্থবছর ধরে আবেদন দিয়েছি। আশা করছি চলমান অর্থবছরেই বাস্তবায়ন হবে।
পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, 1:17 AM
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ৩নং পানছড়ি ইউপিতে অবস্থিত গোলক প্রতিমাছড়া মুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাইরে থেকে ঢালাই-পলেস্তারা ঠিক থাকলেও ভেতরের চিত্র পুরোই উল্টো—দেয়ালজুড়ে প্রসারিত বড় বড় ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার ভয়, কোথাও কোথাও ধসে যাওয়ার আশঙ্কা। বর্ষায় শিশুদের বই-খাতা একাকার ভিজে গিয়েছিল; শুকনো মৌসুমেও রেহাই নেই—মাঝে মাঝেই ধুলো আর পলেস্তারা ঝরে পড়ে।
এই দৃশ্যের মধ্যেই ক্লাসে বসে থাকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। পাঠ্যবই খুললেও তাদের চোখ বারবার চলে যায় ফাটলধরা দেয়ালে। মনে একটাই ভাবনা—“এই বুঝি মাথার ওপর কিছু ভেঙে পড়লো।” শ্রেণিকক্ষে থাকার পুরোটা সময়ই তারা ভয় আর আতঙ্কে কাটায়। তাদের ছোট্ট দাবি—নতুন ভবন। যাতে অন্তত নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে না হয়, নিশ্চিন্তে পড়তে পারে।
সুজিত চাকমা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, “আমি বেশি দিন হয়নি যোগ দিয়েছি। কিন্তু এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা যে কখন কী হয় বলা যায় না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
শান্তিপ্রিয় চাকমা, এলাকার কার্বারি বলেন, বছরের পর বছর এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এডিন চাকমা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, পানছড়ি বলেন, বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ—এটা আমরা জানি। গত দুই অর্থবছর ধরে আবেদন দিয়েছি। আশা করছি চলমান অর্থবছরেই বাস্তবায়ন হবে।