সরিষাবাড়ীতে ইমামের কাছে চাঁদা দাবির জেরে ২৯ দিন ধরে মাদ্রাসা বন্ধ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি :
১৪ অক্টোবর, ২০২৫, 6:47 PM

সরিষাবাড়ীতে ইমামের কাছে চাঁদা দাবির জেরে ২৯ দিন ধরে মাদ্রাসা বন্ধ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্থানীয় দানশীলদের অনুদানে পরিচালিত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমামের নিকট চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে ২৯ দিন ধরে মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের স্থল হাজীবাড়ী তয় তলা জামে মসজিদ হেফজখানা ও এতিমখানায়। হেফজ খানাটি বন্ধ এবং ইমাম না থাকায় মুসল্লীলিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের আবু ইসলাম সাদ্দাম নামের এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির ইমাম হাসান আলীর কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তিনি মাদ্রাসার বৈদ্যুতিক লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেন। এতে ভীত হয়ে ইমাম হাসান আলী প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যান। ফলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ রয়েছে এবং প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইমাম হাসান আলী বলেন, “সাদ্দাম নামের এক ব্যক্তি আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি মাদ্রাসার বৈদ্যুতিক সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধ করেন। বাধ্য হয়ে আমি নিরাপত্তার জন্য চলে আসি।”
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সাদ্দাম পূর্বে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন, পরে তিনি ৫ আগস্ট এর পর বিএনপিতে যোগ দেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত হয়েছেন। এর আগেও ৫ আগস্টের পর আমেরিকা প্রবাসী আকতারুজ্জামান জুগলুর বাড়িতে কয়েকজন ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার পর তিনি আমেরিকায় ফিরে যান।
উল্লেখ্য, হাজীবাড়ী ৩য় তলা জামে মসজিদ ও হেফজখানাটি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী আখতারুজ্জামান জুগলুর এককভাবে আর্থিক সহায়তা দিয়ে হেফজখানার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে খাবার ও ইমামের বেতনাদি দিয়ে পরিচালিত করে আসছেন। পাশাপাশি প্রবাসী আব্দুস সামাদ আজাদ তারা, খোকন মিয়া, নাজিম উদ্দিন লালু এবং তাদের তিন বোনও দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা করে আসছেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধু এ প্রতিষ্ঠানই নয়, এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক উদ্যোগও হুমকির মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে থাকা আল আমিন বলেন, “এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দ্রুত মাদ্রাসাটি পুনরায় চালু করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম এর নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল হাসান রাশেদ বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, “এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে ওঠা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চাঁদার দাবিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া মানবিকতার পরিপন্থী ও দুঃখজনক। প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি :
১৪ অক্টোবর, ২০২৫, 6:47 PM

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্থানীয় দানশীলদের অনুদানে পরিচালিত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমামের নিকট চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে ২৯ দিন ধরে মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের স্থল হাজীবাড়ী তয় তলা জামে মসজিদ হেফজখানা ও এতিমখানায়। হেফজ খানাটি বন্ধ এবং ইমাম না থাকায় মুসল্লীলিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের আবু ইসলাম সাদ্দাম নামের এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির ইমাম হাসান আলীর কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তিনি মাদ্রাসার বৈদ্যুতিক লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেন। এতে ভীত হয়ে ইমাম হাসান আলী প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যান। ফলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ রয়েছে এবং প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইমাম হাসান আলী বলেন, “সাদ্দাম নামের এক ব্যক্তি আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি মাদ্রাসার বৈদ্যুতিক সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধ করেন। বাধ্য হয়ে আমি নিরাপত্তার জন্য চলে আসি।”
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সাদ্দাম পূর্বে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন, পরে তিনি ৫ আগস্ট এর পর বিএনপিতে যোগ দেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত হয়েছেন। এর আগেও ৫ আগস্টের পর আমেরিকা প্রবাসী আকতারুজ্জামান জুগলুর বাড়িতে কয়েকজন ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার পর তিনি আমেরিকায় ফিরে যান।
উল্লেখ্য, হাজীবাড়ী ৩য় তলা জামে মসজিদ ও হেফজখানাটি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী আখতারুজ্জামান জুগলুর এককভাবে আর্থিক সহায়তা দিয়ে হেফজখানার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে খাবার ও ইমামের বেতনাদি দিয়ে পরিচালিত করে আসছেন। পাশাপাশি প্রবাসী আব্দুস সামাদ আজাদ তারা, খোকন মিয়া, নাজিম উদ্দিন লালু এবং তাদের তিন বোনও দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা করে আসছেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধু এ প্রতিষ্ঠানই নয়, এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক উদ্যোগও হুমকির মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে থাকা আল আমিন বলেন, “এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দ্রুত মাদ্রাসাটি পুনরায় চালু করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম এর নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল হাসান রাশেদ বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, “এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে ওঠা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চাঁদার দাবিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া মানবিকতার পরিপন্থী ও দুঃখজনক। প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।