ঢাকা ২১ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই : মির্জা ফখরুল বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ আকর্ষণে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে বিডা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস উদযাপিত গাজায় ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরাইল অবিশ্বাস্য হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ সালমান শাহের অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে এজহার গ্রহণের নির্দেশ ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৪২ নোয়াখালীতে রেকর্ডকৃত সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা পিরোজপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পাঁচটি দোকান

গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সংকট সৃষ্টি হলে ‘কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ’ হতে পারে : রিজভী

#
news image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সংকট সৃষ্টি হলে ‘কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ’ হতে পারে।

আজ বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি যে, যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তারা প্রত্যেকেই এমন একটি জায়গায় উপনীত হবেন, যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে— কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ— যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা; যদি আমরা বলি বা আরো অন্যান্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে, সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া, তো আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে, পিআরই হচ্ছে উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয় অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না, থাকলেও থাকতে পারে যে, নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে।

রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘ দিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশনটা হয় না। এ নিয়ে সেই সব দেশে আলাপ-আলোচনা, বিতর্ক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। সারা বিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি। সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআর-এর কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এই পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে, সেখানে অধিকাংশ মানুষ আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নাই এবং অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।

গণভোট ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই সনদে গণভোটের যে ব্যাপারটা রয়েছে... দুই-একটি দল চাচ্ছেন তারা এটি আগে করার জন্য। এখন আগে আপনি কখন করবেন? যদি জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে হয়, কারণ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রোজা শুরু হবে। তাহলে নিশ্চয়ই রোজার আগে নির্বাচন করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন এবং গণভোট একসাথে করা ছাড়া তো আর অন্য কোনো গত্যন্তর নেই।

তিনি আরো বলেন, এখন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় নির্বাচন ও গণভোটের তো একটা প্রস্তুতি আছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়, বহুবিধ কাজ থাকে, বহু কার্যক্রম থাকে। ফলে গণভোট আগে করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করবেন কী করে? এতে সংকট তৈরি করবে। বরং একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় বলে সবাই মনে করছেন, এটাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিনিয়োগের সঙ্গে কর্মসংস্থানের যেমন একটা বিষয় আছে এবং অর্থনীতিকে সামগ্রিকভাবে চাঙা করার একটা বিষয় আছে। সেই ক্ষেত্রে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত না হলে পরে সংকট আরো ঘনীভূত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

১৬ অক্টোবর, ২০২৫,  12:28 AM

news image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সংকট সৃষ্টি হলে ‘কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ’ হতে পারে।

আজ বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি যে, যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তারা প্রত্যেকেই এমন একটি জায়গায় উপনীত হবেন, যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে— কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ— যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা; যদি আমরা বলি বা আরো অন্যান্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে, সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া, তো আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে, পিআরই হচ্ছে উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয় অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না, থাকলেও থাকতে পারে যে, নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে।

রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘ দিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশনটা হয় না। এ নিয়ে সেই সব দেশে আলাপ-আলোচনা, বিতর্ক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। সারা বিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি। সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআর-এর কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এই পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে, সেখানে অধিকাংশ মানুষ আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নাই এবং অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।

গণভোট ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই সনদে গণভোটের যে ব্যাপারটা রয়েছে... দুই-একটি দল চাচ্ছেন তারা এটি আগে করার জন্য। এখন আগে আপনি কখন করবেন? যদি জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে হয়, কারণ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রোজা শুরু হবে। তাহলে নিশ্চয়ই রোজার আগে নির্বাচন করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন এবং গণভোট একসাথে করা ছাড়া তো আর অন্য কোনো গত্যন্তর নেই।

তিনি আরো বলেন, এখন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় নির্বাচন ও গণভোটের তো একটা প্রস্তুতি আছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়, বহুবিধ কাজ থাকে, বহু কার্যক্রম থাকে। ফলে গণভোট আগে করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করবেন কী করে? এতে সংকট তৈরি করবে। বরং একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় বলে সবাই মনে করছেন, এটাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিনিয়োগের সঙ্গে কর্মসংস্থানের যেমন একটা বিষয় আছে এবং অর্থনীতিকে সামগ্রিকভাবে চাঙা করার একটা বিষয় আছে। সেই ক্ষেত্রে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত না হলে পরে সংকট আরো ঘনীভূত হবে।