কুমিল্লা সদর আসনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরে হার্টঅ্যাটাকে পিতার মৃত্যু।
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪, 4:58 PM
কুমিল্লা সদর আসনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরে হার্টঅ্যাটাকে পিতার মৃত্যু।
কুমিল্লায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৩ জন। একই সময়ে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হার্টঅ্যাটাক করে মৃত্যু বরণ করেন পিতা। ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লা সদর ৬ আসনে।
গতকাল রবিবার দিনব্যাপী কুমিল্লা সদর ৬ আসনে আনন্দ মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সন্ধ্যায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে থাকে। প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আকম বাহাউদ্দিন বাহার স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা থেকে বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। এমন খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিমা গ্রুপের রাজু আহমেদ তার দলবল নিয়ে নগরীর হযরত পাড়ায় ১৮ নং ওয়ার্ডের নৌকা প্রতিকের কর্মী শরীফ আল হাসানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার চেস্টা করে। এসময় পারস্পরিক হাতাহাতির এক পর্যায়ে শরীফ সহ ৩ জনকে গুলি বিদ্ধ করে রাজু।
পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধরা হলেন,নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা শরীফ আল হাসান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনের ছেলে হৃদয় এবং সিয়াম।
এঘটনার খবর আহত শরীফের পরিবারে পৌছালে ততক্ষণাৎ তার পিতা জিল্লুর রহমান হার্টঅ্যাটাক করেন তখন তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে শরীফ আল হাসান জানান, আমি কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী নৌকা প্রতিকের জন্য কাজ করি এবং নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় নিজ কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশের পর পরই আচমকা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিমা গ্রুপের রাজু আহমেদ ও তার লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উওর হামলা করে রাজু আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি চালানোর চেষ্টা করলে আমি আমি তার হাত ধরে ফেলি এবং হাতাহাতির এক পর্যায়ে আমার পেটের বাম পাশে এবং সিয়ামের রানে ও হৃদয়ের হাটুর নিচে গুলি লাগে।
ঘটনার পরপর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের আহব্বায়ক আকম আবদুল আজিজ সিহানুক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শরীফ আমাদের মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী, সে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহারের জন্য কাজ করে আসছিল এবং সে ১৮ নং ওয়ার্ডের অন্তরগত হাউজিং স্টেট স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র কমিটির যুগ্ম-আহব্বায়ক, সেজন্য রাজু বিভিন্ন সময় তাকে হুমকিধমকি দিত এবং তার উপর হামলা করে এঘটনা ঘটায়। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের নিকট এঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
পরে রাত ১২ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে আসেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি কুমিল্লা সদর আসনের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি হাসপাতাল ঘুরে আহতদের দেখেন এবং তাদের শারিরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এবং সাংবাদিকদের জানান,যারা এঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিন্থিত করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
আহত শরীফের মা জানান, আমার ছেলে সারাদিন নৌকার জন্য কাজ করে সন্ধ্যার ঘরে ফিরে গোসল করে বেরিয়ে দোকানের সামনে গেলে রাজু পেছন থেকে দলবল নিয়ে এসে আমার ছেলের কালার ধরে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হামলা করে এবং আমার ছেলে শরীফ সহ ৩ জনকে গুলি করে। এখবর শুনে আমার স্বামী হার্টঅ্যাটাক করে মারা যায়। আমি আমার ছেলের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী রাজু'র বিচার চাই।
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪, 4:58 PM
কুমিল্লায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৩ জন। একই সময়ে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হার্টঅ্যাটাক করে মৃত্যু বরণ করেন পিতা। ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লা সদর ৬ আসনে।
গতকাল রবিবার দিনব্যাপী কুমিল্লা সদর ৬ আসনে আনন্দ মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সন্ধ্যায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে থাকে। প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আকম বাহাউদ্দিন বাহার স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা থেকে বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। এমন খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিমা গ্রুপের রাজু আহমেদ তার দলবল নিয়ে নগরীর হযরত পাড়ায় ১৮ নং ওয়ার্ডের নৌকা প্রতিকের কর্মী শরীফ আল হাসানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার চেস্টা করে। এসময় পারস্পরিক হাতাহাতির এক পর্যায়ে শরীফ সহ ৩ জনকে গুলি বিদ্ধ করে রাজু।
পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধরা হলেন,নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা শরীফ আল হাসান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনের ছেলে হৃদয় এবং সিয়াম।
এঘটনার খবর আহত শরীফের পরিবারে পৌছালে ততক্ষণাৎ তার পিতা জিল্লুর রহমান হার্টঅ্যাটাক করেন তখন তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে শরীফ আল হাসান জানান, আমি কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী নৌকা প্রতিকের জন্য কাজ করি এবং নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় নিজ কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশের পর পরই আচমকা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিমা গ্রুপের রাজু আহমেদ ও তার লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উওর হামলা করে রাজু আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি চালানোর চেষ্টা করলে আমি আমি তার হাত ধরে ফেলি এবং হাতাহাতির এক পর্যায়ে আমার পেটের বাম পাশে এবং সিয়ামের রানে ও হৃদয়ের হাটুর নিচে গুলি লাগে।
ঘটনার পরপর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের আহব্বায়ক আকম আবদুল আজিজ সিহানুক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শরীফ আমাদের মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী, সে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহারের জন্য কাজ করে আসছিল এবং সে ১৮ নং ওয়ার্ডের অন্তরগত হাউজিং স্টেট স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র কমিটির যুগ্ম-আহব্বায়ক, সেজন্য রাজু বিভিন্ন সময় তাকে হুমকিধমকি দিত এবং তার উপর হামলা করে এঘটনা ঘটায়। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের নিকট এঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
পরে রাত ১২ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে আসেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি কুমিল্লা সদর আসনের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি হাসপাতাল ঘুরে আহতদের দেখেন এবং তাদের শারিরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এবং সাংবাদিকদের জানান,যারা এঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিন্থিত করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
আহত শরীফের মা জানান, আমার ছেলে সারাদিন নৌকার জন্য কাজ করে সন্ধ্যার ঘরে ফিরে গোসল করে বেরিয়ে দোকানের সামনে গেলে রাজু পেছন থেকে দলবল নিয়ে এসে আমার ছেলের কালার ধরে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হামলা করে এবং আমার ছেলে শরীফ সহ ৩ জনকে গুলি করে। এখবর শুনে আমার স্বামী হার্টঅ্যাটাক করে মারা যায়। আমি আমার ছেলের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী রাজু'র বিচার চাই।