বাংলাদেশের মানুষ ভাল নেই, দরকার দ্রুত নির্বাচন: আব্দুল কাদের

জেলা প্রতিনিধি
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, 7:12 PM

বাংলাদেশের মানুষ ভাল নেই, দরকার দ্রুত নির্বাচন: আব্দুল কাদের
৫ আগস্টের পর সাধারণ জনগণ ভালো নেই: ১০০টি পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি ও অন্যান্য সংকট নিয়ে বললেন ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের৫ আগস্ট, ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া একের পর এক সংকট দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। ১০০টির বেশি পণ্যের উপর ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি, এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের জনগণকে এক অভূতপূর্ব সংকটে ফেলেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের সাথে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বর্তমান সংকটের গভীর চিত্র।
"ভ্যাট বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেলে দিয়েছে"
আব্দুল কাদের সরাসরি বলেন, “১০০টির বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে এক বিশাল আঘাত। চাল, ডাল, তেল, চিনি, এমনকি দৈনন্দিন ব্যবহার্য সাবান, টুথপেস্ট, এবং শিক্ষাসামগ্রীর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেও ভ্যাট যোগ করা হয়েছে। এটি শুধু নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবনকেও বিপর্যস্ত করেছে। জনগণ আজ বাজারে যাওয়ার সাহসও পাচ্ছে না। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের সক্ষমতাকে নষ্ট করছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে খাদ্য ও গৃহস্থালি পণ্যে। সাধারণ মানুষ এখন সবচেয়ে সস্তা এবং নিম্নমানের পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।”
"দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি: কোথায় যাবে মানুষ?"
চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের কোনও কার্যকরী নজরদারি নেই। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়ীদের একটি অংশ ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনগণকে জিম্মি করেছে। অথচ এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে কোনও দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে পণ্যের দামে সরাসরি প্রভাব পড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসহ হয়ে উঠেছে।”
একটি উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, “আগে যেখানে চালের কেজি ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যেত, সেখানে এখন ৮০-৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ডালের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এমনকি শিশুদের খাবারও এর বাইরে নয়। দুধ ও দুধজাত পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।”
"জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: প্রতিটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত"
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি মানে কেবল পরিবহন খরচ বাড়া নয়, এটি কৃষি, শিল্প, এবং উৎপাদন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কৃষকরা যন্ত্রচালিত যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করেন, সেগুলোর খরচ বেড়ে গেছে। এটি খাদ্য উৎপাদনে সংকট তৈরি করছে। শিল্পখাতে জ্বালানির খরচ বাড়ার কারণে রপ্তানি প্রতিযোগিতার বাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার ভর্তুকি কমিয়ে জ্বালানির ওপর থেকে নজর সরিয়ে নিয়েছে, যা পুরো অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিকল্প জ্বালানি উৎস উন্নয়নে কোনও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না থাকায় আমরা একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
"রাজনৈতিক অস্থিরতা: গণতন্ত্রের সংকট জনগণের হতাশা বাড়াচ্ছে"
আব্দুল কাদেরের মতে, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকার কারণে সাধারণ জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। “আজ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দমননীতি এবং রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে এই অস্থিরতা আরও দীর্ঘায়িত হবে।”
তিনি বলেন, “দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে সরকার এবং বিরোধী পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দমননীতি দিয়ে কখনো স্থায়ী সমাধান আসতে পারে না।”
"ব্যাংকিং খাতের সংকট: খেলাপি ঋণ ও দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে"
ব্যাংকিং খাতের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, “দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। এটি ব্যাংকিং খাতের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঋণ মওকুফ এবং ঋণের অনিয়ম অর্থনীতির শিকড়কে দুর্বল করছে। এই খাত সংস্কার না হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ভেঙে পড়বে।”
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও সংকট: ভবিষ্যৎ অন্ধকার
আব্দুল কাদের বলেন, “শিক্ষা খাতেও ভ্যাট বৃদ্ধি এবং অব্যবস্থাপনা দেখা যাচ্ছে। স্কুল-কলেজের ফি বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসার খরচ এত বেড়েছে যে, মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছে না। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবার মান উন্নত করতে হবে এবং বেসরকারি খাতের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।”
সমাধানের পথ: সুশাসন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনা অপরিহার্য
আব্দুল কাদের দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন:
1. ১০০টি পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং শিক্ষাসামগ্রীর উপর থেকে ভ্যাট কমাতে হবে।
2. জ্বালানি তেলের দাম কমানো: ভর্তুকি বাড়িয়ে জনগণের খরচ কমাতে হবে।
3. সিন্ডিকেট ভাঙা: বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
4. সুষ্ঠু নির্বাচন: গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
5. ব্যাংকিং খাত সংস্কার: দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে খেলাপি ঋণ আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
6. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষের জন্য মানসম্মত ও সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ এক ভয়াবহ সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং জনমুখী নীতি গ্রহণ করা। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, নইলে এই সংকট আরও গভীরতর হবে,বলেন আব্দুল কাদের।
দেশের সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগ থেকে উত্তরণে সুশাসন ও কার্যকর পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হয়, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
জেলা প্রতিনিধি
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, 7:12 PM

৫ আগস্টের পর সাধারণ জনগণ ভালো নেই: ১০০টি পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি ও অন্যান্য সংকট নিয়ে বললেন ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের৫ আগস্ট, ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া একের পর এক সংকট দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। ১০০টির বেশি পণ্যের উপর ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি, এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের জনগণকে এক অভূতপূর্ব সংকটে ফেলেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের সাথে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বর্তমান সংকটের গভীর চিত্র।
"ভ্যাট বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেলে দিয়েছে"
আব্দুল কাদের সরাসরি বলেন, “১০০টির বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে এক বিশাল আঘাত। চাল, ডাল, তেল, চিনি, এমনকি দৈনন্দিন ব্যবহার্য সাবান, টুথপেস্ট, এবং শিক্ষাসামগ্রীর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেও ভ্যাট যোগ করা হয়েছে। এটি শুধু নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবনকেও বিপর্যস্ত করেছে। জনগণ আজ বাজারে যাওয়ার সাহসও পাচ্ছে না। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের সক্ষমতাকে নষ্ট করছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে খাদ্য ও গৃহস্থালি পণ্যে। সাধারণ মানুষ এখন সবচেয়ে সস্তা এবং নিম্নমানের পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।”
"দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি: কোথায় যাবে মানুষ?"
চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের কোনও কার্যকরী নজরদারি নেই। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়ীদের একটি অংশ ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনগণকে জিম্মি করেছে। অথচ এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে কোনও দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে পণ্যের দামে সরাসরি প্রভাব পড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসহ হয়ে উঠেছে।”
একটি উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, “আগে যেখানে চালের কেজি ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যেত, সেখানে এখন ৮০-৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ডালের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এমনকি শিশুদের খাবারও এর বাইরে নয়। দুধ ও দুধজাত পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।”
"জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: প্রতিটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত"
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি মানে কেবল পরিবহন খরচ বাড়া নয়, এটি কৃষি, শিল্প, এবং উৎপাদন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কৃষকরা যন্ত্রচালিত যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করেন, সেগুলোর খরচ বেড়ে গেছে। এটি খাদ্য উৎপাদনে সংকট তৈরি করছে। শিল্পখাতে জ্বালানির খরচ বাড়ার কারণে রপ্তানি প্রতিযোগিতার বাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার ভর্তুকি কমিয়ে জ্বালানির ওপর থেকে নজর সরিয়ে নিয়েছে, যা পুরো অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিকল্প জ্বালানি উৎস উন্নয়নে কোনও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না থাকায় আমরা একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
"রাজনৈতিক অস্থিরতা: গণতন্ত্রের সংকট জনগণের হতাশা বাড়াচ্ছে"
আব্দুল কাদেরের মতে, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকার কারণে সাধারণ জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। “আজ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দমননীতি এবং রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে এই অস্থিরতা আরও দীর্ঘায়িত হবে।”
তিনি বলেন, “দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে সরকার এবং বিরোধী পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দমননীতি দিয়ে কখনো স্থায়ী সমাধান আসতে পারে না।”
"ব্যাংকিং খাতের সংকট: খেলাপি ঋণ ও দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে"
ব্যাংকিং খাতের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, “দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। এটি ব্যাংকিং খাতের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঋণ মওকুফ এবং ঋণের অনিয়ম অর্থনীতির শিকড়কে দুর্বল করছে। এই খাত সংস্কার না হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ভেঙে পড়বে।”
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও সংকট: ভবিষ্যৎ অন্ধকার
আব্দুল কাদের বলেন, “শিক্ষা খাতেও ভ্যাট বৃদ্ধি এবং অব্যবস্থাপনা দেখা যাচ্ছে। স্কুল-কলেজের ফি বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসার খরচ এত বেড়েছে যে, মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছে না। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবার মান উন্নত করতে হবে এবং বেসরকারি খাতের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।”
সমাধানের পথ: সুশাসন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনা অপরিহার্য
আব্দুল কাদের দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন:
1. ১০০টি পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং শিক্ষাসামগ্রীর উপর থেকে ভ্যাট কমাতে হবে।
2. জ্বালানি তেলের দাম কমানো: ভর্তুকি বাড়িয়ে জনগণের খরচ কমাতে হবে।
3. সিন্ডিকেট ভাঙা: বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
4. সুষ্ঠু নির্বাচন: গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
5. ব্যাংকিং খাত সংস্কার: দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে খেলাপি ঋণ আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
6. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষের জন্য মানসম্মত ও সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ এক ভয়াবহ সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং জনমুখী নীতি গ্রহণ করা। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, নইলে এই সংকট আরও গভীরতর হবে,বলেন আব্দুল কাদের।
দেশের সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগ থেকে উত্তরণে সুশাসন ও কার্যকর পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হয়, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।