মাদকসেবীর খপ্পরে নাবালিকা মেয়ের জীবন বিপন্ন ,সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
২৫ জুন, ২০২৫, 6:16 AM

মাদকসেবীর খপ্পরে নাবালিকা মেয়ের জীবন বিপন্ন ,সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি
সমাজে অহরহ ঘটছে অপ্রাপ্ত মেয়েদের সাথে সক্ষতা গড়ে তুলে এক শ্রেণীর বখাটে ভবঘুরে ছেলেরা নানা প্রলোভনে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে পরবর্তীতে কৌশলে সম্মান হানীকর ঘটনা ঘটিয়ে কলংকের একরাশি বোঝা চাপিয়ে মানষিক ভাবে চরম বিপর্যয়ে ফেলে পরিবারের মাঝে সৃষ্টি করে দেয় অস্বস্তিকর পরিবেশ। অবশেষে বাধ্য হয়ে কোমলমতি নাবালিকা মেয়েরা বাবা-মার অজান্তে বেছে নেয় ভখাটেদের হাত ধরে জীবনযাত্রার অন্ধকার গন্তব্য।
পরবর্তীতে ফিরে আসে কলঙ্ক নিয়ে তখন পরিবার, সমাজ তথা এলাকাভিত্তিক সম্মানি ব্যক্তিদের মাঝে সৃষ্টি হয় বিরক্তিকর ঘটনার নানা দৃশ্যপটের চিত্র । বাধ্য হয়ে পরিস্থিতির সকল বিরম্বনা সয্য করতে হয় ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যক্তিদের।
এসমস্ত অনৈতিক কার্যকলাপের পেছনে রয়েছে সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের উদাসিনতা,মাতব্বরদের পক্ষ পাতিত্ব, আইন প্রয়োগকারী ব্যক্তিদের পকেট ভারি করার মানসিকতা, ভুয়া কাজীদের দারা টাকার বিনিময়ে বিবাহ দেওয়া,নোটারী পাবলিকের এভিডেভিট দেখিয়ে নাবালিকা মেয়েদের বিবাহের কাজ সম্পর্ণ করা সহ এক শ্রেনীর বখাটে মাদকসেবী যুবকেরা সংঘবদ্ধ চক্রের ছত্রছায়ায় একের পর এক এই সমস্ত কার্যক্রম বহালতবিয়তে করে যাচ্ছে। পরিবার ও সমাজের শাসনব্যবস্থা না থাকায় এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পাওয়ায় সংখাতিত ভাবে বেড়ে যাচ্ছে এ সমস্ত কার্রক্রম।
সম্প্রতি বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিমপাড়ার শামসুল হকের মেয়ে নাবালিকা মরিয়ম খাতুন (১৩) অভিভাবাকের অজান্তে অনুরুপভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অভিভাবক বিহীন দুষ্কৃতিকারীদের ছত্রছায়ায় অনৈতিকভাবে বিয়ে করে একবছরের মাঝেই লাশ হয়ে ফিরতে হলো স্বামী নামক ভখাটে যুবক তামাই কুয়েত পাড়ার মৃত জামাই বুদ্দুর ছেলে আব্দুর রহমানের ঘড় থেকে। অবশেষে বাবা-মায়ের কাঁধে লাশের বোঝা মাথায় নিয়ে আদালতের কাছে বিচারের আশায় আজও পথ চেয়ে আছে।
সমাজের এইসমস্ত অনৈতিক কার্যকলাপের চিত্র তুলে ধরে সাংবাদিকরা সমাজে চুরি, ছিন্তাই, মাদকসেবন, বাল্যবিবাহ,পরকিয়া, অপহরণ ও নানা উন্নয়নমূলক ভালোমন্দের চিত্রগুলো তুলে ধরেন গনমাধ্যমে। এলাকার সংবাদকর্মীরা গণমাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের দ্বারা নানা ক্ষতির সম্মুখীন হন অনেকসময় জীবন বিপন্ন হয়। তবুও থেমে থাকে না তাদের লেখা, এমনই একটি ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বেলকুচি উপজেলার তামাই কুঠিপাড়ার সাহেব আলীর ছেলে সাগর গত ১৭ই জুন মঙ্গলবার তার সঙ্ঘবদ্ধ মাদকসেবী কিশোর গ্যংয়ের সহায়তায় তামাই খন্দকার পাড়ার মুসলিম খন্দকারের মেয়ে মারিয়া (১২) কে নিয়ে উধাও হয়। অনেক খোঁজাখোঁজি করে পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে তার মা ছাবিনা বেগম বেলকুচি থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের পেক্ষিতে বেলকুচি থানা পুলিশ তামাই কুঠিপাড়ায় অভিযুক্তদের বাড়িতে এসে ঘটনা তদন্ত করে মেয়েটিকে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে চলে যায়। ঘটনার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও এখনো মেয়েটি উদ্ধার হয়নি। এই ঘটনাটি স্হানীয় গণমাধ্যম কর্মী খন্দকার মোহাম্মদ আলী সহ অন্যান্য সাংবাদিকগন বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত সাগর আলীর সঙ্গবদ্ধ চক্রের সদস্যদের মধ্যে কুঠিপাড়র আলিম ব্যাপারির পালিত ছেলে হাছিব ও তার সঙ্গীয় পাঁচ-ছয়জনের কিশোর গ্যংয়ের ব্যাক্তিরা সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মদ আলীকে মারার হুমকি দেয় এবং ভিক্টিম মারিয়ার মা ও তার চাচাকে বিভিন্ন কটুক্তি করায় স্হানীয় মাতেব্বরদের কাছে বিচার চেয়ে না পাওয়ায় থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানালে হুমকি দাতা ও হামলাকারীদের স্হানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আটক করে থানায় খবর দিতে বলেন এরই এক পর্যায়ে গত ২১শে জুন শনিবার সন্ধায় অভিযুক্ত সাগরের মাদকসেবী চক্রের সক্রিয় ব্যক্তি হাছিব অনৈতিকভাবে হুমকি দেওয়ায় এবং মারিয়ার পরিবারের মেয়েদেরকে উৎতক্ত ও হুমকি দেওয়ায় মহল্লার লোকজন তাকে ধরে তার অভিভাবক আলিম ব্যাপারিকে বিচার দেওয়ার জন্য খবর দেয়। ইতিমধ্যে স্হানীয় ইউ পি সদস্য বাবলু ও তামাই কুয়েত পাড়া মহল্লার মাতেব্বর মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম (গুতু), আলিম ব্যাপারি, আনোয়ার হোসেন মাষ্টার, ম্হানীয় সাংবাদিক জাহিদুল হক আজিম, মো: জুয়েল, মো: মিন্টু ও স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে হাছিবের বিভিন্ন অনৈতিক ঘটনার প্রমান পেয়ে তার বাবা উপস্থিত সকলের সামনে পরবর্তীতে এধরণের ঘটনা করবে না মর্মে চর থাপ্পড় ও জুতা পেটা করে শাসনের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থী হয়ে (হাছিব)তাকে নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি অভিযুক্ত সাগর ও তার চাচা বুদ্দু শেখ, এবং বুদ্দুর বড় ছেলে আল-আমিন ও তার ছোট ছেলে ইসমাইল এবং মৃত আব্দুল সালামের ছেলে ইয়াছিন সহ এই চক্রের কতিপয় ব্যক্তিরা সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মাদ আলীর বিষয়ে নানা অপ্রীতিকর কথা ফেসবুকে পোস্ট করে সম্মানহানি করছে। এ বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে । অপরাধীরা অপরাধ করবে আর বিষয়টি তুলে ধরলে সাংবাদিকদের হত্যা, গুম, খুন করার হুমকি দিবে এ বিষয় গুলো সরজমিনে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাবে না বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক । আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় মাদকসেবী চক্রের সদস্যরা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এদের অসাধ্য কোন কাজ নেই স্হানীয় মাতেব্বর,গন্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের নাজেহাল হতে হয় এই চক্রগুলোর কাছে যার কারনে সমাজে প্রতিবাদ কারিরা নিরব হয়ে যাচ্ছে।
সমাজে একটি প্রবাদ আছে লাঠির জবাব লাঠি দিয়ে, কথার জবাব কথা দিয়ে, আইনের জবাব আইন দিয়ে করতে হয় তবে প্রশ্ন হলো মাদকসেবী বখাটেদের কার্যকলাপের জবাব কি অনুরুপভাবেই করতে হবে?
রাষ্টের চতুর্থ স্তম্ভ হলো সংবাদ মাধ্যম এই সংবাদ মাধ্যমের ব্যক্তিদের যদি নিরাপত্তা না থাকে কোথায় গিয়ে দাড়াবে দেশের সাধারন মানুষ। এই পেশায় কর্মরত সচেতন ব্যক্তিদের কাছে প্রত্যাশা দুষ্কৃতিকারী এবং অপরাধীরা সাংবাদিকদের যতই আক্রমণ মূলক কথা-বার্তা আইন কানন হুমকি ধামকি মানহানিকর কার্যকলাপ যত কিছুই করুক না কেনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে শরিলে এক ফোটা রক্ত থাকা পর্যন্ত এই পেশার দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে পিছুপা হবেন না। আইনের শাসন ব্যবস্থা যখন দুর্বল হয়ে যায় যেকোনো পেশার মানুষ তখন প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে না পেয়ে প্রতিবাদের জন্য তখন লাঠি হাতে নেয়, এটিই ও একটি প্রতিবাদের চিত্র। এমনটাই মাঝে মাঝে বিভিন্ন পেশার মানুষদের গর্জে উঠতে দেখা যায় এটা ন্যয় না অন্যায় বোঝার ক্ষমতা সমাজের অবক্ষয় কারীদের নয় শুধু সচেতন বুদ্ধিজীবিদের আছে।
এ বিষয়ে উন্নয়ন অনুসন্ধান ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী শাকিল আহমেদ জানান, বেলকুচিতে মাদক, বাল্য বিয়ে, হত্যা,গুম,পরকিয়া,ছিন্তাই,ডাকা তিসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনার চিত্র যেমন তুলে ধরা হয় তেমনি এলাকার ভালো দিকগুলোও তুলে ধরা হয়। গণমাধ্যম কর্মীদের পেশা দায়িত্বের মাঝে যা কিছু প্রয়োজন তা করে থাকে একজন গণমাধ্যম কর্মী। বিশেষ করে মফস্বল সাংবাদিকদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় তার মাঝে প্রশাসনের কোন সহায়তা না পাওয়ায় অনেক সাংবাদিক এলাকার সংবাদ প্রকাশ করতে ভয় পায়। বেলকুচিতে দীর্ঘদিন থেকে সাহসের সাথে এলাকার ভালোমন্দ সংবাদগুলো তুলে ধরেন গণমাধ্যমে সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মাদ আলী। তার বিরুদ্ধ প্রকৃত অভিযুক্তরা নানা অপ্রীতিকর, সম্মাননাহিকর কথা ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান প্রশাসনের উন্ধতন ব্যক্তিদের কাছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাকিরিয়া হোসেন জানান, থানায় প্রত্যেকটি অভিযোগ গুরত্বের সাথে দেখা হয় এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের সহায়তা করতে হবে তবেই এলাকার মাদক, বাল্য বিয়ে,গুম ,হত্যা ,খুন বন্ধ করা সম্ভব।
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
২৫ জুন, ২০২৫, 6:16 AM

সমাজে অহরহ ঘটছে অপ্রাপ্ত মেয়েদের সাথে সক্ষতা গড়ে তুলে এক শ্রেণীর বখাটে ভবঘুরে ছেলেরা নানা প্রলোভনে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে পরবর্তীতে কৌশলে সম্মান হানীকর ঘটনা ঘটিয়ে কলংকের একরাশি বোঝা চাপিয়ে মানষিক ভাবে চরম বিপর্যয়ে ফেলে পরিবারের মাঝে সৃষ্টি করে দেয় অস্বস্তিকর পরিবেশ। অবশেষে বাধ্য হয়ে কোমলমতি নাবালিকা মেয়েরা বাবা-মার অজান্তে বেছে নেয় ভখাটেদের হাত ধরে জীবনযাত্রার অন্ধকার গন্তব্য।
পরবর্তীতে ফিরে আসে কলঙ্ক নিয়ে তখন পরিবার, সমাজ তথা এলাকাভিত্তিক সম্মানি ব্যক্তিদের মাঝে সৃষ্টি হয় বিরক্তিকর ঘটনার নানা দৃশ্যপটের চিত্র । বাধ্য হয়ে পরিস্থিতির সকল বিরম্বনা সয্য করতে হয় ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যক্তিদের।
এসমস্ত অনৈতিক কার্যকলাপের পেছনে রয়েছে সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের উদাসিনতা,মাতব্বরদের পক্ষ পাতিত্ব, আইন প্রয়োগকারী ব্যক্তিদের পকেট ভারি করার মানসিকতা, ভুয়া কাজীদের দারা টাকার বিনিময়ে বিবাহ দেওয়া,নোটারী পাবলিকের এভিডেভিট দেখিয়ে নাবালিকা মেয়েদের বিবাহের কাজ সম্পর্ণ করা সহ এক শ্রেনীর বখাটে মাদকসেবী যুবকেরা সংঘবদ্ধ চক্রের ছত্রছায়ায় একের পর এক এই সমস্ত কার্যক্রম বহালতবিয়তে করে যাচ্ছে। পরিবার ও সমাজের শাসনব্যবস্থা না থাকায় এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পাওয়ায় সংখাতিত ভাবে বেড়ে যাচ্ছে এ সমস্ত কার্রক্রম।
সম্প্রতি বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিমপাড়ার শামসুল হকের মেয়ে নাবালিকা মরিয়ম খাতুন (১৩) অভিভাবাকের অজান্তে অনুরুপভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অভিভাবক বিহীন দুষ্কৃতিকারীদের ছত্রছায়ায় অনৈতিকভাবে বিয়ে করে একবছরের মাঝেই লাশ হয়ে ফিরতে হলো স্বামী নামক ভখাটে যুবক তামাই কুয়েত পাড়ার মৃত জামাই বুদ্দুর ছেলে আব্দুর রহমানের ঘড় থেকে। অবশেষে বাবা-মায়ের কাঁধে লাশের বোঝা মাথায় নিয়ে আদালতের কাছে বিচারের আশায় আজও পথ চেয়ে আছে।
সমাজের এইসমস্ত অনৈতিক কার্যকলাপের চিত্র তুলে ধরে সাংবাদিকরা সমাজে চুরি, ছিন্তাই, মাদকসেবন, বাল্যবিবাহ,পরকিয়া, অপহরণ ও নানা উন্নয়নমূলক ভালোমন্দের চিত্রগুলো তুলে ধরেন গনমাধ্যমে। এলাকার সংবাদকর্মীরা গণমাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের দ্বারা নানা ক্ষতির সম্মুখীন হন অনেকসময় জীবন বিপন্ন হয়। তবুও থেমে থাকে না তাদের লেখা, এমনই একটি ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বেলকুচি উপজেলার তামাই কুঠিপাড়ার সাহেব আলীর ছেলে সাগর গত ১৭ই জুন মঙ্গলবার তার সঙ্ঘবদ্ধ মাদকসেবী কিশোর গ্যংয়ের সহায়তায় তামাই খন্দকার পাড়ার মুসলিম খন্দকারের মেয়ে মারিয়া (১২) কে নিয়ে উধাও হয়। অনেক খোঁজাখোঁজি করে পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে তার মা ছাবিনা বেগম বেলকুচি থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের পেক্ষিতে বেলকুচি থানা পুলিশ তামাই কুঠিপাড়ায় অভিযুক্তদের বাড়িতে এসে ঘটনা তদন্ত করে মেয়েটিকে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে চলে যায়। ঘটনার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও এখনো মেয়েটি উদ্ধার হয়নি। এই ঘটনাটি স্হানীয় গণমাধ্যম কর্মী খন্দকার মোহাম্মদ আলী সহ অন্যান্য সাংবাদিকগন বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত সাগর আলীর সঙ্গবদ্ধ চক্রের সদস্যদের মধ্যে কুঠিপাড়র আলিম ব্যাপারির পালিত ছেলে হাছিব ও তার সঙ্গীয় পাঁচ-ছয়জনের কিশোর গ্যংয়ের ব্যাক্তিরা সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মদ আলীকে মারার হুমকি দেয় এবং ভিক্টিম মারিয়ার মা ও তার চাচাকে বিভিন্ন কটুক্তি করায় স্হানীয় মাতেব্বরদের কাছে বিচার চেয়ে না পাওয়ায় থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানালে হুমকি দাতা ও হামলাকারীদের স্হানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আটক করে থানায় খবর দিতে বলেন এরই এক পর্যায়ে গত ২১শে জুন শনিবার সন্ধায় অভিযুক্ত সাগরের মাদকসেবী চক্রের সক্রিয় ব্যক্তি হাছিব অনৈতিকভাবে হুমকি দেওয়ায় এবং মারিয়ার পরিবারের মেয়েদেরকে উৎতক্ত ও হুমকি দেওয়ায় মহল্লার লোকজন তাকে ধরে তার অভিভাবক আলিম ব্যাপারিকে বিচার দেওয়ার জন্য খবর দেয়। ইতিমধ্যে স্হানীয় ইউ পি সদস্য বাবলু ও তামাই কুয়েত পাড়া মহল্লার মাতেব্বর মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম (গুতু), আলিম ব্যাপারি, আনোয়ার হোসেন মাষ্টার, ম্হানীয় সাংবাদিক জাহিদুল হক আজিম, মো: জুয়েল, মো: মিন্টু ও স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে হাছিবের বিভিন্ন অনৈতিক ঘটনার প্রমান পেয়ে তার বাবা উপস্থিত সকলের সামনে পরবর্তীতে এধরণের ঘটনা করবে না মর্মে চর থাপ্পড় ও জুতা পেটা করে শাসনের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থী হয়ে (হাছিব)তাকে নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি অভিযুক্ত সাগর ও তার চাচা বুদ্দু শেখ, এবং বুদ্দুর বড় ছেলে আল-আমিন ও তার ছোট ছেলে ইসমাইল এবং মৃত আব্দুল সালামের ছেলে ইয়াছিন সহ এই চক্রের কতিপয় ব্যক্তিরা সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মাদ আলীর বিষয়ে নানা অপ্রীতিকর কথা ফেসবুকে পোস্ট করে সম্মানহানি করছে। এ বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে । অপরাধীরা অপরাধ করবে আর বিষয়টি তুলে ধরলে সাংবাদিকদের হত্যা, গুম, খুন করার হুমকি দিবে এ বিষয় গুলো সরজমিনে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাবে না বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক । আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় মাদকসেবী চক্রের সদস্যরা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এদের অসাধ্য কোন কাজ নেই স্হানীয় মাতেব্বর,গন্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের নাজেহাল হতে হয় এই চক্রগুলোর কাছে যার কারনে সমাজে প্রতিবাদ কারিরা নিরব হয়ে যাচ্ছে।
সমাজে একটি প্রবাদ আছে লাঠির জবাব লাঠি দিয়ে, কথার জবাব কথা দিয়ে, আইনের জবাব আইন দিয়ে করতে হয় তবে প্রশ্ন হলো মাদকসেবী বখাটেদের কার্যকলাপের জবাব কি অনুরুপভাবেই করতে হবে?
রাষ্টের চতুর্থ স্তম্ভ হলো সংবাদ মাধ্যম এই সংবাদ মাধ্যমের ব্যক্তিদের যদি নিরাপত্তা না থাকে কোথায় গিয়ে দাড়াবে দেশের সাধারন মানুষ। এই পেশায় কর্মরত সচেতন ব্যক্তিদের কাছে প্রত্যাশা দুষ্কৃতিকারী এবং অপরাধীরা সাংবাদিকদের যতই আক্রমণ মূলক কথা-বার্তা আইন কানন হুমকি ধামকি মানহানিকর কার্যকলাপ যত কিছুই করুক না কেনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে শরিলে এক ফোটা রক্ত থাকা পর্যন্ত এই পেশার দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে পিছুপা হবেন না। আইনের শাসন ব্যবস্থা যখন দুর্বল হয়ে যায় যেকোনো পেশার মানুষ তখন প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে না পেয়ে প্রতিবাদের জন্য তখন লাঠি হাতে নেয়, এটিই ও একটি প্রতিবাদের চিত্র। এমনটাই মাঝে মাঝে বিভিন্ন পেশার মানুষদের গর্জে উঠতে দেখা যায় এটা ন্যয় না অন্যায় বোঝার ক্ষমতা সমাজের অবক্ষয় কারীদের নয় শুধু সচেতন বুদ্ধিজীবিদের আছে।
এ বিষয়ে উন্নয়ন অনুসন্ধান ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী শাকিল আহমেদ জানান, বেলকুচিতে মাদক, বাল্য বিয়ে, হত্যা,গুম,পরকিয়া,ছিন্তাই,ডাকা তিসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনার চিত্র যেমন তুলে ধরা হয় তেমনি এলাকার ভালো দিকগুলোও তুলে ধরা হয়। গণমাধ্যম কর্মীদের পেশা দায়িত্বের মাঝে যা কিছু প্রয়োজন তা করে থাকে একজন গণমাধ্যম কর্মী। বিশেষ করে মফস্বল সাংবাদিকদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় তার মাঝে প্রশাসনের কোন সহায়তা না পাওয়ায় অনেক সাংবাদিক এলাকার সংবাদ প্রকাশ করতে ভয় পায়। বেলকুচিতে দীর্ঘদিন থেকে সাহসের সাথে এলাকার ভালোমন্দ সংবাদগুলো তুলে ধরেন গণমাধ্যমে সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মাদ আলী। তার বিরুদ্ধ প্রকৃত অভিযুক্তরা নানা অপ্রীতিকর, সম্মাননাহিকর কথা ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান প্রশাসনের উন্ধতন ব্যক্তিদের কাছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাকিরিয়া হোসেন জানান, থানায় প্রত্যেকটি অভিযোগ গুরত্বের সাথে দেখা হয় এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের সহায়তা করতে হবে তবেই এলাকার মাদক, বাল্য বিয়ে,গুম ,হত্যা ,খুন বন্ধ করা সম্ভব।
সম্পর্কিত