রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে - রিজভী আহমেদ

গাজীপুর প্রতিনিধি :
১২ অক্টোবর, ২০২৫, 12:57 AM

রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে - রিজভী আহমেদ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, অনেক সুরঙ্গ তৈরি করার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে গভীর চক্রান্ত চলছে, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। যিনি পালিয়ে গেছেন পার্শ্ববর্তী দেশে তাকে যাতে ফিরিয়ে আনা হয়।
তিনি বলেন, আপনাদের শাপলা না দিলে ধানের শীষ দেওয়া হবে না। এই ধরনের অযাচিত বিতর্ক তৈরি করে কেন আপনারা সময় নষ্ট, আরেক দিকে আমাদের প্রত্যেকের যে ঐক্যবদ্ধ স্পিড, সেই স্পিড নষ্ট করছেন। গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে যে কোন রাজনৈতিক দল মত প্রকাশ করতে পারে। আপনারা চেয়েছেন শাপলা। আপনারা কথা বলুন নির্বাচন কমিশনারের সাথে, আপনাদের দাবি নিয়ে আপনাদের প্রতীক নিয়ে। যদিও শাপলা জাতীয় প্রতীক। জাতীয় ফুলটি জাতীয় প্রতীকে পরিণত হয়েছে। জাতীয় যে কোন অনুষ্ঠান বা রাষ্ট্রপতি বা প্রধান উপদেষ্টা তার প্রতি মানুষের আলাদা শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। সেটা আপনারা চান। যাই হোক আপনাদের দলীয় বক্তব্য আপনারা বলতে পারেন। তার সাথে ধানের শীষ কেন নিয়ে আসছেন? ধানের শীষ ৪৭ বছর নির্বাচনের প্রতীক। যে তারা শাপলা না পেলে ধানের শীষও দেওয়া হবে না। ধানের শীষ আপনার জন্মের আগেই বিএনপি'র প্রতীক। সেই প্রতীক আপনারা কাউন্টার করছেন।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ কর্মসূচি- ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, যারা লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে, ছেলে-মেয়ে ভাগ্নে-ভাগ্নির জন্য যারা প্লটের পর প্লট নিয়েছে পূর্বাল, উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট হলো আমাদের অর্জন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বাড়ি ছিল না ৩২ নম্বরে? সব জায়গায় বাড়ি আছে তার, ভাগ্নে ভাগ্নিদেরও আছে। ৬০ কাঠা পূর্বাচলের জায়গা পুতুলের নামে। গোটা বাংলাদেশটাই ছিল শেখ হাসিনার রাজত্ব তার পৈত্রিক সম্পত্তি।
তিনি আরো বলেন, যারা জনগণের কাছে ভীতির সঞ্চার করে এরা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। কোন দুর্নীতিবাজ বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। সমাজের মানুষ যাদেরকে আতঙ্ক মনে করে তারা বিএনপির সদস্য হবে না। তাছাড়া সবাই হবে। কারখানার শ্রমিক মাঠের কৃষক স্কুল শিক্ষক চাকরিজীবী যাদের রাজনীতি করার আইনগত অধিকার আছে তারা সবাই সদস্য হতে পারবে। শুধু অপরাধীরা সদস্য হবে না। এটা সুস্পষ্টভাবে আমাদের নীতিমালায় বলা আছে।
স্বাধীনতার পরে তারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা শুধু কালোবাজারিতে লিপ্ত ছিলেন না। তারা চোরাকারবারিতেই লিপ্ত ছিলেন না, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা বাকশাল কায়েম করেছে। সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করেছে। কেউ যাতে টুশব্দ করতে পারেনা। এটাই ছিল এই ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার এবং তার বাবাও সেটি করেছে ৭২ থেকে ৭৫ সালে। যশোরের উপজেলা চেয়ারম্যান-বিএনপি নেতা তার লাশ পাওয়া গেল গাজীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে। ইলিয়াস আলী তার বাসার সামনে থেকে অদৃশ্য হলেন। এভাবেই যুব সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, এমপি, কাউন্সিলর কেউ বাদ গেল না। শেখ হাসিনা ভয়ে থাকতেন, যদি এদের সুযোগ দেই, তারা যদি মিছিল বের করে, তাহলে হয়তো তার অবৈধ ক্ষমতা আর থাকবেন না। এই ভয়ে তিনি তার পথের কাঁটা নিশ্চিহ্ন করার জন্যই বিরোধী দল বিএনপিকে টার্গেট করলেন এবং ১৭ বছর নিপীড়ন-নির্যাতন, অসংখ্য গুম, অসংখ্য বিচার বহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের প্রত্যেকটি কারাগার ভরিয়ে দিয়েছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর আমাদের কেটেছে কাশিমপুর কারাগারে, পুরান ঢাকার কারাগারে, কেরানীগঞ্জ কারাগারে।
তিনি বলেন, ডা. মো. ইউনুস তিনি একজন গুণীজন আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছেন। যদি গ্রামাঞ্চলে বেগুনের কেজি ৩৫ টাকা হয়, সিমের কেজি ৪০ টাকা কেজি আর ঢাকায় বিক্রি হয় ১২০ টাকা। এটা কেন হবে। কারণ এটা হয় এজন্য বারবার হাত বদল হয়, চাঁদাবাজি হয় রাস্তার মধ্যে চাঁদাবাজরা চাঁদা তুলে। শাক সবজির দাম শহরের বাজারে এসে চারগুণ পাঁচ গুণ হয়। ড. ইউনুস সাহেবের আমলে চাঁদাবাজ থাকার কথা নয়। অপরাধীরা কেন এখনো বিচরণ করবে ? কেন কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? শ্রমিকরা কর্মসংস্থান হারাবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে হাহাকার শুরু হবে, দুর্ভিক্ষ দেখা দিবেন।
ড. ইউনুস সাহেব অনেক অনেক ভালো পদক্ষেপ নিয়েছেন আমি অস্বীকার করি না। অনেক দিকে ভালো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিন্তু সামগ্রিক দিক দিয়ে কেন সামাল দিতে পারছেন না? কেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারছেন না ?
অনুষ্ঠানে গাজীপুর মহানগর বিএনপি'র সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনির সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মাহবুবুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন নান্নু, ডা. জাহিদুল কবির ও তৌহিদুর রহমান আওয়াল প্রমুখ।
গাজীপুর প্রতিনিধি :
১২ অক্টোবর, ২০২৫, 12:57 AM

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, অনেক সুরঙ্গ তৈরি করার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে গভীর চক্রান্ত চলছে, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। যিনি পালিয়ে গেছেন পার্শ্ববর্তী দেশে তাকে যাতে ফিরিয়ে আনা হয়।
তিনি বলেন, আপনাদের শাপলা না দিলে ধানের শীষ দেওয়া হবে না। এই ধরনের অযাচিত বিতর্ক তৈরি করে কেন আপনারা সময় নষ্ট, আরেক দিকে আমাদের প্রত্যেকের যে ঐক্যবদ্ধ স্পিড, সেই স্পিড নষ্ট করছেন। গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে যে কোন রাজনৈতিক দল মত প্রকাশ করতে পারে। আপনারা চেয়েছেন শাপলা। আপনারা কথা বলুন নির্বাচন কমিশনারের সাথে, আপনাদের দাবি নিয়ে আপনাদের প্রতীক নিয়ে। যদিও শাপলা জাতীয় প্রতীক। জাতীয় ফুলটি জাতীয় প্রতীকে পরিণত হয়েছে। জাতীয় যে কোন অনুষ্ঠান বা রাষ্ট্রপতি বা প্রধান উপদেষ্টা তার প্রতি মানুষের আলাদা শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। সেটা আপনারা চান। যাই হোক আপনাদের দলীয় বক্তব্য আপনারা বলতে পারেন। তার সাথে ধানের শীষ কেন নিয়ে আসছেন? ধানের শীষ ৪৭ বছর নির্বাচনের প্রতীক। যে তারা শাপলা না পেলে ধানের শীষও দেওয়া হবে না। ধানের শীষ আপনার জন্মের আগেই বিএনপি'র প্রতীক। সেই প্রতীক আপনারা কাউন্টার করছেন।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ কর্মসূচি- ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, যারা লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে, ছেলে-মেয়ে ভাগ্নে-ভাগ্নির জন্য যারা প্লটের পর প্লট নিয়েছে পূর্বাল, উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট হলো আমাদের অর্জন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বাড়ি ছিল না ৩২ নম্বরে? সব জায়গায় বাড়ি আছে তার, ভাগ্নে ভাগ্নিদেরও আছে। ৬০ কাঠা পূর্বাচলের জায়গা পুতুলের নামে। গোটা বাংলাদেশটাই ছিল শেখ হাসিনার রাজত্ব তার পৈত্রিক সম্পত্তি।
তিনি আরো বলেন, যারা জনগণের কাছে ভীতির সঞ্চার করে এরা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। কোন দুর্নীতিবাজ বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। সমাজের মানুষ যাদেরকে আতঙ্ক মনে করে তারা বিএনপির সদস্য হবে না। তাছাড়া সবাই হবে। কারখানার শ্রমিক মাঠের কৃষক স্কুল শিক্ষক চাকরিজীবী যাদের রাজনীতি করার আইনগত অধিকার আছে তারা সবাই সদস্য হতে পারবে। শুধু অপরাধীরা সদস্য হবে না। এটা সুস্পষ্টভাবে আমাদের নীতিমালায় বলা আছে।
স্বাধীনতার পরে তারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা শুধু কালোবাজারিতে লিপ্ত ছিলেন না। তারা চোরাকারবারিতেই লিপ্ত ছিলেন না, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা বাকশাল কায়েম করেছে। সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করেছে। কেউ যাতে টুশব্দ করতে পারেনা। এটাই ছিল এই ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার এবং তার বাবাও সেটি করেছে ৭২ থেকে ৭৫ সালে। যশোরের উপজেলা চেয়ারম্যান-বিএনপি নেতা তার লাশ পাওয়া গেল গাজীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে। ইলিয়াস আলী তার বাসার সামনে থেকে অদৃশ্য হলেন। এভাবেই যুব সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, এমপি, কাউন্সিলর কেউ বাদ গেল না। শেখ হাসিনা ভয়ে থাকতেন, যদি এদের সুযোগ দেই, তারা যদি মিছিল বের করে, তাহলে হয়তো তার অবৈধ ক্ষমতা আর থাকবেন না। এই ভয়ে তিনি তার পথের কাঁটা নিশ্চিহ্ন করার জন্যই বিরোধী দল বিএনপিকে টার্গেট করলেন এবং ১৭ বছর নিপীড়ন-নির্যাতন, অসংখ্য গুম, অসংখ্য বিচার বহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের প্রত্যেকটি কারাগার ভরিয়ে দিয়েছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর আমাদের কেটেছে কাশিমপুর কারাগারে, পুরান ঢাকার কারাগারে, কেরানীগঞ্জ কারাগারে।
তিনি বলেন, ডা. মো. ইউনুস তিনি একজন গুণীজন আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছেন। যদি গ্রামাঞ্চলে বেগুনের কেজি ৩৫ টাকা হয়, সিমের কেজি ৪০ টাকা কেজি আর ঢাকায় বিক্রি হয় ১২০ টাকা। এটা কেন হবে। কারণ এটা হয় এজন্য বারবার হাত বদল হয়, চাঁদাবাজি হয় রাস্তার মধ্যে চাঁদাবাজরা চাঁদা তুলে। শাক সবজির দাম শহরের বাজারে এসে চারগুণ পাঁচ গুণ হয়। ড. ইউনুস সাহেবের আমলে চাঁদাবাজ থাকার কথা নয়। অপরাধীরা কেন এখনো বিচরণ করবে ? কেন কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? শ্রমিকরা কর্মসংস্থান হারাবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে হাহাকার শুরু হবে, দুর্ভিক্ষ দেখা দিবেন।
ড. ইউনুস সাহেব অনেক অনেক ভালো পদক্ষেপ নিয়েছেন আমি অস্বীকার করি না। অনেক দিকে ভালো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিন্তু সামগ্রিক দিক দিয়ে কেন সামাল দিতে পারছেন না? কেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারছেন না ?
অনুষ্ঠানে গাজীপুর মহানগর বিএনপি'র সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনির সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মাহবুবুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন নান্নু, ডা. জাহিদুল কবির ও তৌহিদুর রহমান আওয়াল প্রমুখ।
সম্পর্কিত