ফ্যাসিবাদবিরোধী যোদ্ধা ফারুক খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই গাছাবাসী
মোঃ ইকবাল হোসাইন :
১৪ নভেম্বর, ২০২৫, 8:23 PM
ফ্যাসিবাদবিরোধী যোদ্ধা ফারুক খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই গাছাবাসী
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগে বহিষ্কার হওয়া ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের অগ্রদূত, জাতীয়তাবাদী আদর্শে অটল যোদ্ধা, গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক খানকে দ্রুত দলে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, বিএনপি সমর্থক ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত এই নেতাকে দলের বাইরে রেখে গাছা থানা এলাকায় সংগঠনকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়।
১৭ বছরের ত্যাগ ও নির্যাতনের স্মৃতি তুলে ধরে সাম্প্রতিক এক আলোচনায় মো. ফারুক খান বলেন, দল ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তিনি বিগত ১৭ বছরে বহুবার হামলা, মামলা ও কারাবরণের শিকার হয়েছি তারপরেও “শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে আমি এক মুহূর্তের জন্যও সরে দাঁড়াইনি। কঠিন সময়ে দলের জন্য কাজ করেছি, গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে সামনের সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি, আন্দোলনে একাধিকবার আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা হয়েছে তার পরেও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে সড়ে না গিয়ে মানুষের পাশে থেকেছি।”
গাসিক নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অংশ দাবি করে তিনি আরো বলেন, ২০২৩ সালের গাসিক নির্বাচনে তার অংশগ্রহণকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য বলা হলেও ফারুক খানের দাবি ছিল ভিন্ন। “ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই আমি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু রাতের আঁধারে সিল মেরে পরিকল্পিতভাবে আমাকে পরাজিত করা হয়।” আমার এই পরাজয়ের জন্য একটি কুচক্রী মহল জড়িত দাবি করেন
তার ভাষায়, “দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরও আমি আন্দোলনে ছিলাম, জেলও খেটেছি। দলের জন্য আমার ত্যাগ কোনো দিন থামেনি, আমৃত্যু দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করে শহিদ জিয়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কাজ করে যাব”।
আলোচনায় অংশ নেওয়া গাছার সাধারণ মানুষ ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, আন্দোলনের কঠিন সময়ে ত্যাগী নেতাকে বাদ রাখা সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় নেতা কর্মীরা বলেন,“যে মানুষ দলীয় আদর্শে অটল থেকে বছরের পর বছর কষ্ট সহ্য করেছেন, তাকে পাশে পাওয়া সংগঠনের জন্য সম্পদ। তার প্রতি জনগণের আস্থা এখনো অটুট।”
স্থানীয় একাধিক নেতা কর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফারুক খানের বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করে থাকে দ্রুত দলে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য দেশ নায়ক তারেক রহমান সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করে তারা বলেন, ফারুক খানকে দলে ফিরিয়ে আনা হলে গাছা থানা বিএনপিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ের সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে। তারা আরো দাবি করে বলেন, “যে নেতা প্রতিকূল পরিবেশেও দলীয় আদর্শ ধরে রেখেছেন, তাকে দলে ফরিয়ে নিলে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং জাতীয়তাবাদের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়বে।”
মোঃ ইকবাল হোসাইন :
১৪ নভেম্বর, ২০২৫, 8:23 PM
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগে বহিষ্কার হওয়া ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের অগ্রদূত, জাতীয়তাবাদী আদর্শে অটল যোদ্ধা, গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক খানকে দ্রুত দলে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, বিএনপি সমর্থক ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত এই নেতাকে দলের বাইরে রেখে গাছা থানা এলাকায় সংগঠনকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়।
১৭ বছরের ত্যাগ ও নির্যাতনের স্মৃতি তুলে ধরে সাম্প্রতিক এক আলোচনায় মো. ফারুক খান বলেন, দল ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তিনি বিগত ১৭ বছরে বহুবার হামলা, মামলা ও কারাবরণের শিকার হয়েছি তারপরেও “শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে আমি এক মুহূর্তের জন্যও সরে দাঁড়াইনি। কঠিন সময়ে দলের জন্য কাজ করেছি, গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে সামনের সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি, আন্দোলনে একাধিকবার আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা হয়েছে তার পরেও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে সড়ে না গিয়ে মানুষের পাশে থেকেছি।”
গাসিক নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অংশ দাবি করে তিনি আরো বলেন, ২০২৩ সালের গাসিক নির্বাচনে তার অংশগ্রহণকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য বলা হলেও ফারুক খানের দাবি ছিল ভিন্ন। “ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই আমি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু রাতের আঁধারে সিল মেরে পরিকল্পিতভাবে আমাকে পরাজিত করা হয়।” আমার এই পরাজয়ের জন্য একটি কুচক্রী মহল জড়িত দাবি করেন
তার ভাষায়, “দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরও আমি আন্দোলনে ছিলাম, জেলও খেটেছি। দলের জন্য আমার ত্যাগ কোনো দিন থামেনি, আমৃত্যু দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করে শহিদ জিয়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কাজ করে যাব”।
আলোচনায় অংশ নেওয়া গাছার সাধারণ মানুষ ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, আন্দোলনের কঠিন সময়ে ত্যাগী নেতাকে বাদ রাখা সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় নেতা কর্মীরা বলেন,“যে মানুষ দলীয় আদর্শে অটল থেকে বছরের পর বছর কষ্ট সহ্য করেছেন, তাকে পাশে পাওয়া সংগঠনের জন্য সম্পদ। তার প্রতি জনগণের আস্থা এখনো অটুট।”
স্থানীয় একাধিক নেতা কর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফারুক খানের বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করে থাকে দ্রুত দলে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য দেশ নায়ক তারেক রহমান সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করে তারা বলেন, ফারুক খানকে দলে ফিরিয়ে আনা হলে গাছা থানা বিএনপিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ের সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে। তারা আরো দাবি করে বলেন, “যে নেতা প্রতিকূল পরিবেশেও দলীয় আদর্শ ধরে রেখেছেন, তাকে দলে ফরিয়ে নিলে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং জাতীয়তাবাদের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়বে।”