শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
মোঃ নজরুল ইসলাম, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
২০ নভেম্বর, ২০২৫, 7:13 PM
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
গাজীপুর মহানগরীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলনের জেরে অবশেষে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে জরুরি নোটিশের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
জানা যায়, গত কয়েক দিন যাবত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বেতন বৃদ্ধি প্রত্যাহার, অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি কমানো, গরিব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা এবং স্কলারশিপ চালুর দাবি। ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরবর্তীতে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলন থামাতে গিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মারধর করেন, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
পরিস্থিতি শান্ত করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসার গভর্নিং বডির প্রধান ড. কোরবানি আলী অভিযুক্ত তিন শিক্ষক আতিকুর রহমান, সিবগাতুল্লাহ ও কামরুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞান বিভাগের পালটা আন্দোলন ও বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার দাবি
শিক্ষকদের বহিষ্কারের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। মঙ্গলবার রাতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানায়। তাদের দাবি, বহিষ্কৃত শিক্ষক আতিকুর রহমান বিজ্ঞান বিভাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বহিষ্কার বিভাগটির জন্য ক্ষতিকর হবে।
১৯ নভেম্বর (বুধবার) সকালে বিজ্ঞান বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা ও বাতিলের দাবি তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে প্রশাসনকে চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে, যা শিক্ষকদের মানহানি করেছে। এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে, যেখানে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন।
শিক্ষার্থীদের পালটা আন্দোলন ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জরুরি সিদ্ধান্ত নেয়। মাদ্রাসার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়: "গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিশুশ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত সকল শ্রেণির ক্লাশ বন্ধ থাকবে। একই সাথে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. হেফজুর রহমান জানান, গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
মোঃ নজরুল ইসলাম, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
২০ নভেম্বর, ২০২৫, 7:13 PM
গাজীপুর মহানগরীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলনের জেরে অবশেষে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে জরুরি নোটিশের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
জানা যায়, গত কয়েক দিন যাবত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বেতন বৃদ্ধি প্রত্যাহার, অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি কমানো, গরিব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা এবং স্কলারশিপ চালুর দাবি। ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরবর্তীতে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলন থামাতে গিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মারধর করেন, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
পরিস্থিতি শান্ত করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসার গভর্নিং বডির প্রধান ড. কোরবানি আলী অভিযুক্ত তিন শিক্ষক আতিকুর রহমান, সিবগাতুল্লাহ ও কামরুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞান বিভাগের পালটা আন্দোলন ও বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার দাবি
শিক্ষকদের বহিষ্কারের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। মঙ্গলবার রাতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানায়। তাদের দাবি, বহিষ্কৃত শিক্ষক আতিকুর রহমান বিজ্ঞান বিভাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বহিষ্কার বিভাগটির জন্য ক্ষতিকর হবে।
১৯ নভেম্বর (বুধবার) সকালে বিজ্ঞান বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা ও বাতিলের দাবি তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে প্রশাসনকে চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে, যা শিক্ষকদের মানহানি করেছে। এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে, যেখানে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন।
শিক্ষার্থীদের পালটা আন্দোলন ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জরুরি সিদ্ধান্ত নেয়। মাদ্রাসার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়: "গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিশুশ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত সকল শ্রেণির ক্লাশ বন্ধ থাকবে। একই সাথে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. হেফজুর রহমান জানান, গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
সম্পর্কিত