ঢাকা ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
জাতীয় নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কৃষি, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়ে সিএ এবং ডাচ মন্ত্রীর আলোচনা তারেক রহমান এখন মানবতার দূত হিসেবে কাজ করছেন : রিজভী নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) ২০২৬ সালে ব্যাংকে ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত জাতিসংঘের গাজা ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন মুশফিকের শততম টেস্টে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২০ পরিস্থিতি ঠিক রাখায় জিএমপি'র মাসিক কল্যাণ পুরস্কার পেল গাছা থানা

পলাতক ও দণ্ডিত আসামিদের বক্তব্য প্রচারে এনসিএসএ’র সতর্কতা

#
news image

দেশের বিভিন্ন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মে পলাতক ও দণ্ডিত আসামিদের দেওয়া মিথ্যা বক্তব্য প্রচারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

সোমবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এনসিএসএ জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে এসব মিথ্যা  বক্তব্য জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করেছে এবং এখনো করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক এমন বক্তব্য প্রচার করছে, যা সহিংসতা তৈরি করছে, জনমনে সহিংসতার উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করছে ।

এনসিএসএ জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

এই প্রেক্ষাপটে এনসিএসএ জানায়, দেশের আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার দেশের সার্বিক সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) নষ্ট করছে। 

বিবৃতিতে এ ধরনের বক্তব্যে সহিংসতার আহ্বান থাকায় এগুলো সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, বিশৃঙ্খলা, নাশকতা ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্ররোচনা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্স ২০২৫-এর ২৬(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে, জেনেু বুঝে বা ভুয়া পরিচয়ে নিজের বা অন্যের আইডিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সাইবার জগতে ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করে যা সহিংসতা সৃষ্টি করে বা উদ্বেগ বাড়ায়, অথবা বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কাজের নির্দেশনা দেয় তাহলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

২৬(২) ধারায় বলা হয়েছে, এই অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।

এ কারণে এনসিএসএ সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সতর্ক করে বলেছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় তথ্য বা বক্তব্য অপসারণ, ব্লক বা প্রয়োজন হলে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিতে পারে। এনসিএসএ মহাপরিচালকের মাধ্যমে এসব ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

প্রয়োজনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা যেতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

১৮ নভেম্বর, ২০২৫,  3:17 PM

news image

দেশের বিভিন্ন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মে পলাতক ও দণ্ডিত আসামিদের দেওয়া মিথ্যা বক্তব্য প্রচারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

সোমবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এনসিএসএ জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে এসব মিথ্যা  বক্তব্য জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করেছে এবং এখনো করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক এমন বক্তব্য প্রচার করছে, যা সহিংসতা তৈরি করছে, জনমনে সহিংসতার উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করছে ।

এনসিএসএ জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

এই প্রেক্ষাপটে এনসিএসএ জানায়, দেশের আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার দেশের সার্বিক সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) নষ্ট করছে। 

বিবৃতিতে এ ধরনের বক্তব্যে সহিংসতার আহ্বান থাকায় এগুলো সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, বিশৃঙ্খলা, নাশকতা ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্ররোচনা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্স ২০২৫-এর ২৬(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে, জেনেু বুঝে বা ভুয়া পরিচয়ে নিজের বা অন্যের আইডিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সাইবার জগতে ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করে যা সহিংসতা সৃষ্টি করে বা উদ্বেগ বাড়ায়, অথবা বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কাজের নির্দেশনা দেয় তাহলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

২৬(২) ধারায় বলা হয়েছে, এই অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।

এ কারণে এনসিএসএ সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সতর্ক করে বলেছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় তথ্য বা বক্তব্য অপসারণ, ব্লক বা প্রয়োজন হলে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিতে পারে। এনসিএসএ মহাপরিচালকের মাধ্যমে এসব ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

প্রয়োজনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা যেতে পারে।