ঢাকা ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের আহ্বায়ক ইশরাক হোসেন, সদস্য সচিব নান্নু ভালো মানুষকে নির্বাচিত না করলে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দুর্নীতি দ্বিগুণ হবে: মঞ্জু ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছে মোগাদিসু: নতুন ভবন, নতুন আশার নগরী পিরোজপুরে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত ১, আহত অবস্থায় আটক ১ মুন্সিগঞ্জে অস্ত্রসহ যুবককে আটক করে পুলিশে দিল গ্রামবাসী চরভদ্রাসনে বাল্যবিয়ে রোধে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ‎পাঁচবিবিতে শহীদ আলাউদ্দিন মিউনিসিপ্যাল স্কুলে নবান্ন উৎসব পানছড়িতে ডোর টু ডোর চলছে ধানের শীষের প্রচারনা রাসূল (সাঃ) এর জীবন আদর্শই  ইসলামী নেতৃত্বের মূল চাবিকাটি,ড.আহমদ হাসান চৌধরী শাহান কোম্পানীগঞ্জে কৃষি অফিসে দুদকের অভিযান: অনিয়ম ও ভর্তুকি আত্মসাতের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাঁসি

#
news image

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসির নগর উপজেলায় আমন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। মাঠজুড়ে সোনালি ধান দোল খাওয়ায় খুশির জোয়ার বইছে কৃষক কৃষাণীর মনে। নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ শুধু কৃষক কৃষাণীদের মাঝে নয়, পুরো অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। নাসির নগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে এখন চলছে সোনালি ধানের কাটার মহা উৎসব।

ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে।

নাসির নগর সদর ইউনিয়নের নাসির পুর গ্রামের কৃষক মালু মিয়া জানান, তিনি বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে বিঘায় ব্রি-৩৪ এবং বিঘা ব্রি-৫১ ধানের আবাদ করেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করছেন, বছর চিকন ধানে বিঘা প্রতি ২০-২২ মন এবং মোটা ধানে ৩০-৩২ মন ফসল পাবেন। যদিও সার কীটনাশকের দাম বেশি ছিল, তবে ফলন ভালো হওয়ায় বাজার দর সন্তোষজনক থাকলে লাভবান হওয়া যাবে।

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের কৃষক তকদির হোসেন জানান, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে ব্রি-৫১ ধান চাষ করেছেন এবং বিঘাপ্রতি ২৮-৩০ মন ফলন আশা করছেন। জমিতে মোটর সেচ সহ যাবতীয় খরচ কিছুটা বেশী হলেও বছর ভালো ফলন হওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট।

কৃষকরা আরো জানান, বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং পর্যাপ্ত রোদ পাওয়ায় ধানের ফলন অত্যন্ত ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২৫-৩২ মন ফলন তুলতে পারছেন তারা। গত বছরের তুলনায় বছর ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক সাধারণ মানুষদের মধ্যে আনন্দের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে।

ধান কাটার কাজে নিয়োজিত কৃষি শ্রমিকরাও এভার ভীষণ খুশি কারন তারা তাদের কাজের জন্য ভালো মজুরি পাচ্ছেন। পুরুষ শ্রমিকরা দিনে ৬০০-৭০০ টাকা এবং নারী শ্রমিকরা ৪০০-৫০০ টাকা দিন হাজিরা পাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান শাকিল জানান, বছর নাসির নগর উপজেলায় আগাম মধ্যমেয়াদী আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সময় মতো সার, কীটনাশক মাঠ তদারকির এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ফসল খুবই ভালো হয়েছে। 

বাজার ধানের মূল্য সন্তোষজনক থাকায় কৃষকরা খুশী। বিশেষ করে ব্রি-৩৪ সুগন্ধি জাতের ধানে রোগ-পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি :

২৫ নভেম্বর, ২০২৫,  4:00 AM

news image

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসির নগর উপজেলায় আমন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। মাঠজুড়ে সোনালি ধান দোল খাওয়ায় খুশির জোয়ার বইছে কৃষক কৃষাণীর মনে। নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ শুধু কৃষক কৃষাণীদের মাঝে নয়, পুরো অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। নাসির নগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে এখন চলছে সোনালি ধানের কাটার মহা উৎসব।

ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে।

নাসির নগর সদর ইউনিয়নের নাসির পুর গ্রামের কৃষক মালু মিয়া জানান, তিনি বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে বিঘায় ব্রি-৩৪ এবং বিঘা ব্রি-৫১ ধানের আবাদ করেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করছেন, বছর চিকন ধানে বিঘা প্রতি ২০-২২ মন এবং মোটা ধানে ৩০-৩২ মন ফসল পাবেন। যদিও সার কীটনাশকের দাম বেশি ছিল, তবে ফলন ভালো হওয়ায় বাজার দর সন্তোষজনক থাকলে লাভবান হওয়া যাবে।

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের কৃষক তকদির হোসেন জানান, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে ব্রি-৫১ ধান চাষ করেছেন এবং বিঘাপ্রতি ২৮-৩০ মন ফলন আশা করছেন। জমিতে মোটর সেচ সহ যাবতীয় খরচ কিছুটা বেশী হলেও বছর ভালো ফলন হওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট।

কৃষকরা আরো জানান, বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং পর্যাপ্ত রোদ পাওয়ায় ধানের ফলন অত্যন্ত ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২৫-৩২ মন ফলন তুলতে পারছেন তারা। গত বছরের তুলনায় বছর ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক সাধারণ মানুষদের মধ্যে আনন্দের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে।

ধান কাটার কাজে নিয়োজিত কৃষি শ্রমিকরাও এভার ভীষণ খুশি কারন তারা তাদের কাজের জন্য ভালো মজুরি পাচ্ছেন। পুরুষ শ্রমিকরা দিনে ৬০০-৭০০ টাকা এবং নারী শ্রমিকরা ৪০০-৫০০ টাকা দিন হাজিরা পাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান শাকিল জানান, বছর নাসির নগর উপজেলায় আগাম মধ্যমেয়াদী আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সময় মতো সার, কীটনাশক মাঠ তদারকির এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ফসল খুবই ভালো হয়েছে। 

বাজার ধানের মূল্য সন্তোষজনক থাকায় কৃষকরা খুশী। বিশেষ করে ব্রি-৩৪ সুগন্ধি জাতের ধানে রোগ-পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।